টপ ৫: উইম্বলডন সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য
উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশীপ (Wimbledon Championship) বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন টেনিস প্রতিযোগিতা। অনেকের মতে এটিই টেনিসের সবচেয়ে ধ্রুপদী, মর্যাদাসম্পন্ন ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা। ১৮৭৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উইম্বলডন এলাকায় প্রতিবছর নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই প্রতিযোগিতা। তবে মহিলাদের একক শুরু হয় ৭ বছর পর ১৮৮৪ সাল থেকে। চলুন আজকে এই প্রাচীনতম টেনিস প্রতিযোগিতা উইম্বলডন সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য নেই।
উইম্বলডন সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য
প্রাচীনতম টেনিস প্রতিযোগিতা

উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশীপ (Wimbledon Championship) বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন টেনিস প্রতিযোগিতা। ১৮৭৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উইম্বলডন এলাকায় প্রতিবছর নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই প্রতিযোগিতা। তবে মহিলাদের একক শুরু হয় ৭ বছর পর ১৮৮৪ সাল থেকে। সে বছর পুরুষ ডাবলও শুরু হয়। আর মহিলা ডাবল এবং মিক্সড ডাবল শুরু হয় ১৯১৩ সালে।
৫৪,০০০ এরও বেশি টেনিস বল

২৫৬ জন খেলোয়াড় নিয়ে উইম্বলডনের এক টুর্নামেন্টেই ২৫৪ টি ম্যাচ হয়। আর তাই এই প্রতিযোগিতায় বলও যে বেশি লাগবে তা অনুমেয়। তবে আপনি হয়তো না ধারনা করতে পারেন প্রকৃত সংখ্যাটা। কেননা প্রতিটি টুর্নামেন্টে এই ব্যবহৃত বলের পরিমাণ ৫৪,০০০ এরও বেশি!
বর্তমান উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশীপ হলুদ বলে হলেও মজার ব্যাপার হচ্ছে, উইম্বলডন হয়েছিল সাদা টেনিস বলেও। তবে টিভি ক্যামেরায় তাদের আরও দৃশ্যমান করার জন্য ১৯৮৬ সাল থেকে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশীপ হলুদ বল দিয়েই খেলা হয়।
উইম্বলডন প্রাইজ মানি

উইম্বলডন প্রতিযোগিতায় পুরুষ এবং মহিলা একক চ্যাম্পিয়নশিপের বিজয়ীরা পান ২.৩৫০ মিলিয়ন ইউরো করে এবং রানার্সআপ পান ১.১৭৫ মিলিয়ন ইউরো। আবার প্রতিটি রাউন্ডের বিজয়ীরাও পুরস্কার পান। এক্ষেত্রে পুরষ্কারের পরিমাণ শুরু হয় ৪,৫০০ ইউরো থেকে। আর প্রতিবছরই এই প্রাইজ মানির পরিমাণ কিছুটা বাড়ে।
২০১৯ সালের উইম্বলডন প্রাইজ মানি
অবস্থান | প্রাইজ মানি (ইউরো) | প্রাইজ মানি (টাকা) |
চ্যাম্পিয়ন | £২,৩৫০,০০০ | প্রায় ২১ কোটি ৫০ লক্ষ |
রানার্সআপ | £১,১৭৫,০০০ | প্রায় ১০ কোটি ৭৫ লক্ষ |
সেমি-ফাইনাল | £৫৮৮,০০০ | প্রায় ৫ কোটি ৩৫ লক্ষ |
কোয়ার্টার-ফাইনাল | £২৯৪,০০০ | প্রায় ২ কোটি ৬৫ লক্ষ |
রাউন্ড ৪ | £১৭৬,০০০ | প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ |
রাউন্ড ৩ | £১১১,০০০ | প্রায় ১ কোটি |
রাউন্ড ২ | £৭২,০০০ | প্রায় ৬৬ লক্ষ |
রাউন্ড ১ | £৪৫,০০০ | প্রায় ৪১ লক্ষ |
স্ট্রিক্ট ড্রেস কোড

উইম্বলডনের নিয়ম অনুসারে সকল খেলোয়াড়কে অবশ্যই পুরোপুরি সাদা রঙের পোশাক পরতে হবে। কোন খেলোয়াড় ড্রেস কোডটি না মানলে আম্পায়াররা পরিবর্তন করার জন্য বলে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৩ সালে, উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন রজার ফেদেরারকে তার পরের ম্যাচের জন্য জুতা পরিবর্তন করতে বলা হয়েছিল কারণ তার জুতায় কমলা রঙের সোল (sole) ছিল।
ঘাসের কোর্ট

টেনিসে প্রতি বছর চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম অনুষ্ঠিত হয়। তবে উইম্বলডনই একমাত্র গ্র্যান্ড স্ল্যাম, যা হয় ঘাসের কোর্টে। টুর্নামেন্ট চলাকালে ঘাসগুলো ঠিক ৮ মিমি. করে কাটা হয়। আর এই ঘাসের যত্নআত্তি করার জন্য টুর্নামেন্ট একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়। যেই দিনে গ্রাউন্ড স্টাফরা সময় কাটায় ঘাসে জল দিয়ে এবং দ্বিতীয় সপ্তাহের জন্য এটি প্রস্তুত করার কাজে।