টপ ৫: টেসলা সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য
বিগত বছর গুলোতে বিদ্যুত চালিত গাড়িতে উদ্ভাবনী এবং নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বাজারে উল্লেখযোগ্য মাত্রার পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আর এই পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বিশ্বের অন্যতম পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান, টেসলা (Tesla)। তবে টেসলা যে এতো পথ পাড়ি দিয়ে একদিন বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে তা ২০০৯ সালের জানুয়ারিতেও কল্পনার বাইরে ছিল। কিন্তু এর পরেই বর্তমান সিইও ইলন মাস্কের বেশ কিছু যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে বদলে গেছে টেসলার ভবিষ্যৎ। আজকে আমরা ইলন মাস্কের এই পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান, টেসলা সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য জানব।
টেসলা সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য
ইলন মাস্ক টেসলার প্রতিষ্ঠাতা নন

টেসলার নাম শুনলেই মাথায় ইলন মাস্কের কথা এসে যায়। কিন্তু অনেকের মত আপনারও হয়তো একটি ভুল ধারনা থাকতে পারে, আর তা হল, “ইলন মাস্ক টেসলার প্রতিষ্ঠাতা বা সহ প্রতিষ্ঠাতা”। এই ভুল তথ্যটি আপনি বিভিন্ন বাংলা ব্লগ এবং অনলাইন নিউজপেপারেও দেখে থাকবেন। কিন্তু সত্য হল “ইলন মাস্ক টেসলা মোটরের প্রতিষ্ঠাতা নন”!
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণকারী কোম্পানি হিসেবে টেসলা যাত্রা শুরু করে ২০০৩ সালের ১লা জুলাইয়ে। যার প্রতিষ্ঠাতা মার্টিন এবারহার্ড এবং মার্ক টারপেনিং। আর ২০০৪ সালে যোগদান করেন ইলন মাস্ক। প্রথমদিকে মার্টিন এবারহার্ড টেসলার সিইও হেসেবে থাকলেও ২০০৮ সাল থেকে ইলন মাস্ক ই টেসলার সিইও। আর এরপরেই কোম্পানিটি নতুন করে যাত্রা শুরু করে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করে।
টেসলার নামকরণ

ঠিকই ধরেছেন আপনি। টেসলার নামকরণ করা হয় কিংবদন্তী সার্বিয়ান-আমেরিকান পদার্থবিদ, উদ্ভাবক, ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশলী, যন্ত্র প্রকৌশলী এবং ভবিষ্যদ্বক্তা ‘নিকোলা টেসলা‘ এর নামানুসারে। টেসলার প্রতিষ্ঠাতা মার্টিন এবারহার্ড এবং মার্ক টারপেনিং তাকে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক এই নাম দেন। তবে প্রথমদিকে এর নাম দেওয়া হয় ‘টেসলা মোটরস‘ এবং ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই নাম ছোট করে রাখা হয় ‘টেসলা‘ [সোর্স]।
টেসলাতে ইলন মাস্কের শেয়ার কতটুকু?

ইলন মাস্ক, টেসলার প্রতিষ্ঠাতা না হলেও এ কথা অনস্বীকার্য যে, ইলন মাস্ক সিইও হিসেবে যোগদানের পরই টেসলার পরিচিতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরতে থাকে। আর তাই টেসলা কোম্পানিটিতে যে ইলন মাস্কের শেয়ারের পরিমাণ ভালই হবে তা ধারনা করা যায়। বর্তমানে টেসলাতে ইলন মাস্কের শেয়ারের পরিমাণ প্রায় ২১.৭%।
টেসলার ‘সাইবারট্রাক’

এতদিন মানুষ বহন করার বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করলেও ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে টেসলা মালামাল পরিবহনের বৈদ্যুতিক ট্রাকের উদ্বোধন করে। যার নাম ‘সাইবারট্রাক’। তবে এই ট্রাকটি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে ২০২১ সালের শেষদিক পর্যন্ত। সাইবারট্রাকটি ৮০ হাজার পাউন্ড বা প্রায় ৩৭ টন পর্যন্ত মালামাল বহন করতে পারবে। আর এই ৩৭ টন নিয়েই ০ থেকে ঘণ্টায় ৬০ মাইল গতিবেগ পাওয়া যাবে মাত্র ২০ সেকেন্ডে এবং ট্রাকটি খালি হলে এই গতি পেতে সময় লাগবে মাত্র ৫ সেকেন্ড।
‘সাইবারট্রাক’ উদ্বোধনকালে ইলন মাস্ক বলেন, এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নিরাপদ, সবচেয়ে আরামদায়ক, সবচেয়ে শক্তিশালী এবং মাইলপ্রতি সবচেয়ে কম জ্বালানি খরচ করা ট্রাক। ট্রাকটির স্বয়ংক্রিয় বা অটোপাইলট মোড রাস্তার লেন মেনে চলে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্রেকও কষতে পারে। প্রকাশের ৫ দিন পরেই, সাইবার ট্রাকের ২৫০,০০০ টিরও বেশি প্রিঅর্ডার ছিল।
টেসলার গাড়ি সমূহ

বিশ্বের অন্যতম এই বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার গাড়িগুলো হল [সোর্স]:
২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত, টেসলা চারটি মডেলের গাড়ি সরবরাহ করে: মডেল এস, মডেল ৩, মডেল এক্স এবং মডেল ওয়াই। টেসলার প্রথম গাড়ি, টেসলা রোডস্টার (প্রথম প্রজন্ম), আর বিক্রি হয় না।